চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প বাগগুজারা রাবার ডেমের ভেতরে জোয়ারের লবণ পানি ঢুকে পড়ছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
আজ ৪ এপ্রিল, সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এ কারণে পানির অতিরিক্ত চাপে চকরিয়া বাগগুজারা রাবার ডেমের ২নং স্প্যানের রাবার ছিঁড়ে গিয়ে সেচ প্রকল্পের ভেতরে লবণ পানি ঢুকে পড়ছে। ফলে এ অঞ্চলের বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
বরইতলী এলাকার কৃষক শওকত ওসমান বলেন, বাগগুজারা রাবার ডেমের আওতায় বরইতলী, বিএমচর ও কোনাখালীর ব্যাপক এলাকা জুড়ে বোরো ধান ও মৌসুমী ক্ষেত ও বিভিন্ন ধরনের তরকারির চাষাবাদ হয়ে থাকে। বোরো ধান ঘরে তুলতে আরও এক-দেড় মাসের মতো সময় লাগবে। এ অবস্থায় যদি সেচ প্রকল্পের মিষ্টি পানির সঙ্গে লবণাক্ত লোনা পানি মিশে যায়, তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
কোনাখালী এলাকার কৃষক মোস্তাক আহমদ জানান, কোনাখালী এলাকায় বোরো মৌসুমের চাষাবাদ একটু দেরিতে শুরু হয়, এ মুহূর্তে লবণ পানি ঢুকে পড়লে তাদের অনেক ক্ষতি হবে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হায়দার চকরিয়া নিউজকে বলেন, বাগ গুজারা রাবার ডেম সেচ প্রকল্পের আওতায় কোনাখালী, ভেওলা মানিকচর, বহদ্দারকাটা, কৈয়ারবিল, পূর্ব বড় ভেওলা ও বরইতলী ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার দুইশ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। বছরের এ সময়ে মিঠাপানির সঙ্গে লবণ পানি মিশ্রিত হয়ে পড়লে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রাবার ডেমের স্পেনের ছিঁড়ে যাওয়া রাবার দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নিতে তিনি সোমবার দুপুরেই কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জামাল মোর্শেদ চকরিয়া নিউজকে জানান, নদীতে জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় বাগ গুজারা রাবার ডেমের ২নং স্প্যানের রাবারের কিছু অংশ ফেটে গিয়ে রাবারের ভেতরে থাকা পানি বের হয়ে আসছে এবং রাবারের ওপর দিয়ে লবণ পানি সেচ প্রকল্পের ভেতরে প্রবেশ করছে। জোয়ারের পানিতে স্প্যানের ছিঁড়ে যাওয়া রাবার মেরামত করা কঠিন হলেও দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান চকরিয়া নিউজকে বলেন, বাগগুজারা রাবার ডেমের ভেতরে লবণ পানি ঢোকার বিষয়ে জানতে পেরেছি। দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: